মো: হান্নান মিয়া সংবাদদাতা রাজৈর (মাদারীপুর) : শিক্ষকের উপর তার ক্লাস চাপিয়ে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলাধীন খানিয়া ইউনিয়নের ৪২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফুলমালা হীরাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজ উপজেলার ৪২ নং খ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষ গৌতম চন্দ্র দাস তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একই বিদ্যালয়ের মহিলা সহকারী শিক্ষিকা মানা হীরার উপর চেয়ার নিয়ে অতর্কি করে এ এলোপাতারি আঘাত করতে থাকে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং মুলমানা হীরাকে রাজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বিষয়টি রাজৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্ত মাদারীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে জানান। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস । বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের সাথে খারাপ আচারণ করেন। তিনি কোন ক্লাস করেন না এবং তিনি তার ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে, অন্য
দেন। তিনি সব সময় ঘুরে বেড়ান। অত্র বিদ্যালয় তার বড় টি হওয়া তিনি বাড়িতে সময় দেন বেশি। গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আমাকে তার নির্ধারিত ক্লা নিতে বলেন। আমি আমার নির্ধারিত ক্লাস নিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে তার ১০.৪৫ ক্লাস নিতে পারিনি বিধায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে দিন অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার সকাল ঘটিকার সময় অ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী রুমে সকল শিক্ষকের সমন্বয়ে স্বরর্তী পুজার আলোচনা সভায় সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস আমাকে চার্জ করে বলেন আমার ক্লাস কেন নেয়া হয়নি। এ সময় তিনি আমাকে অকথ্য ভাষা গালাগালি করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারার জন্য চেয়ার নিয়ে তেড়ে আসেন এবং আ আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। আমি অসুস্থ হয়ে পরলে আমার সহকর্মী আমাকে রাজৈর উপ কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না বলে জান
রাজৈর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহোদয়গণকে লিখিতভাবে জানিয়েছি নিয়মানুযায়ী আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে একজন পুরুষ শিক্ষক হয়ে একজন মহিলা শিক্ষককে মারধোর করা ঠিক হয়নি। রাজৈর উপজেলা শিক্ষা অর গুলশান আরা জানান, বিষয়টি শুনেছি। যেই দোষী হোক, তার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইন গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, অত্র বিদ্যালয়ের ঘটনাটি সুনেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি দ্রুত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য প্রতিবেদন আমার নিকট পৌঁছালে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাবো।
Leave a Reply