সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
প্রতিক্ষন সংবাদ : ডলারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করেছে। দেশে ডলারের তীব্র সংকটের কথা বাইরের দেশগুলোতে প্রচারিত হওয়ার পর বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো টাকার মান কমিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মুদ্রার মান বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। এত বেশি টাকার দরপতনে রেমিট্যান্স আহরণের খরচ বেড়ে গেছে। এতে ব্যাংকগুলো পড়েছে বিপাকে।
একদিকে বৈদেশিক দেনা পরিশোধে ব্যাংকগুলো এখন রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করছে, অন্যদিকে এর দাম বেড়ে যাচ্ছে লাগামহীনভাবে। বাড়তি দামে রেমিট্যান্স কিনেও বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। এতে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকে বাড়তি খরচের জোগান দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৫৩ শতাংশ আসে ওইসব দেশ থেকে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। মোট রেমিট্যান্সের সৌদি আরব থেকে ১৮ শতাংশ, সংযুক্ত আর আমিরাত থেকে ১৫ শতাংশ, কুয়েত থেকে ৭ শতাংশ, কাতার থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ, ওমান থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ, মালয়েশিয়া থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩ শতাংশ ও যুক্তরাজ্য থেকে ১১ শতাংশ আসে।
এক সপ্তাহ আগে কুয়েতি দিনারের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ ওই দিন কুয়েতে কার্যরত এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো দিনার বিক্রি করেছে ৪০০ টাকা করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ১৪ শতাংশ। কাতার রিয়ালের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩১ টাকা। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা। দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। কাতারের এরাবিয়ান এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও আল জামান এক্সচেঞ্জ কোম্পানি প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে। তারা বৃহস্পতিবার প্রতি রিয়ালের দাম চাচ্ছে ৩৫ টাকা। এর কমে দিচ্ছে না। ফলে যেসব ব্যাংক ৩৫ টাকায় রিয়াল কিনলে তারাই কেবল রেমিট্যান্স পাচ্ছে।
ওমানের রিয়ালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা হয়েছে। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। এদিকে ওমান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের নতুন ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে। এতে ওমানে নতুন কর্মী যাওয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সৌদি রিয়ালের দামও ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ টাকা হয়েছে। মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দাম ২৪ টাকা থেকে ২৬ টাকা হয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৪১ টাকা। সম্প্রতি এর দাম বেড়ে ১৫১ টাকা হয়েছে। ব্রিটেনে কার্যরত বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো এখন ১৫১ টাকার কম বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর কাছে রেমিট্যান্স বিক্রি করছে না।
Leave a Reply