শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
প্রতিক্ষন সংবাদ – কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে উধাও হয়ে যাওয়া চার বোনকে সাত দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় একটি বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পিবিআই জানিয়েছে, বাবা-মায়ের ঝগড়ায় অসহ্য হয়ে বাড়ি ছেড়েছিল ওই চার বোন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর হাউজিং এলাকায় পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই চার বোন হলেন— নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের মজিবুল হকের বড় মেয়ে পাশের আফসারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী তাসনিম জাহান (১৮), একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী মারজান আক্তার (১৭), ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাজিন সুলতানা (১২) ও স্থানীয় নারুয়া তালিমুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী মাইশা আক্তার (৭)।
পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, বাবা-মায়ের পারিবারিক কলহের জেরে তাদের সন্তানরা ২৬ মে সকালে অভিমান করে মা-বাবাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান চার বোন।
বাড়িছাড়ার পর তারা বাসযোগে কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া পৌঁছায়। পরে ওই এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয় এক অটোচালকের সহযোগিতায়। এরই মধ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন তাসনিম জাহান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় জাঙ্গালিয়া এলাকার হালিমা বেগমের বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে মা-বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ওই চার বোন। পরে রাগ ভাঙাতে এসে নাতনিদের সঙ্গে করে নিয়ে যান তাদের নানি। পর দিন ২৬ মে পাশের নারুয়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হন তারা। আত্মীয়স্বজনসহ বন্ধুবান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ করেও মেলেনি তাদের সন্ধান। এ ঘটনায় ২৭ মে রাতে নাঙ্গলকোট থানায় জিডি করেন তাদের বাবা মুজিবুল হক। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply