শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
প্রতিক্ষন সংবাদ: ইমরান খানকে মুক্তির পর পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের রায় এবং আচরণের সাংবিধানিকতা নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। তবে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট যে দেশের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। পরাক্রমশালী এ প্রতিষ্ঠানটি দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এমনকি সরকারের শীর্সস্থানীয় পদ যেমন প্রধানমন্ত্রী অপসারণ, নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের বাতিলসহ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সংসদীয় ও নির্বাহী ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষমতাও রয়েছে। সেনা-শাহজাজ সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেই শুধু মুক্তি নয়, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের অভ্যুত্থানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।আর এই নিয়েই ভেতর ভেতর বরাবরই একটা চাপা গুঞ্জন চলে পাকিস্তানে। সুপ্রিমকোর্টের একমাত্র ক্ষমতা যদি রায় দেওয়ায় হয় তবে বর্তমান কোর্ট এতটা শক্তিশালী কীভাবে ঘুরেফিরে এই এক প্রশ্ন এখন আতশবাজির মতো ফুটছে পাকিস্তানের অলি-গলিতে। বিশ্লেষকদের মতে, ২০০৭-২০০৯ সালের আইনজীবী/ বিচারিক আন্দোলন বর্তমান সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতার অনুঘটক বলা যেতে পারে।পরিবর্তনের সূচক হিসাবে বিচারক: পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের রায়, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যক্রমগুলোকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আদালত শুধু নিষ্ক্রিয় থেকে নিজেদের বিচারকার্য সম্পাদন করছেন না। পাকিস্তানি আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনে অনুঘটক হিসাবে কাজ করছেন হাইকোর্ট। এটি রাষ্ট্রের আরেকটি অঙ্গ। অপরদিকে বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্ট একটি সরকারের ডান হাত হিসেবে পরিচিত দেশের জনগন নিরোপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন চায় কিন্ত সুপ্রিমকোর্ট তার বিপক্ষে রায় দেন।
Leave a Reply