মোঃ হাবিবুর রহমান মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখাবে কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা খায়ের বেপারীর বিরুদ্ধে। সমতল তিন ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার ফলে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে জৈনসার ইউনিয়নের কৃষি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। সোমবার ৩ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের চাইন পাড়া গ্রামের ফসলি জমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু-মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত বালু-মাটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী জাকির হাওলাদারের ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি থেকে ৫০-৬০ ফুট গভীর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের তিন ফসলি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হচ্ছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা খায়ের বেপারী উল্লেখিত আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা করছে না।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা খায়ের বেপারীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
জৈনসার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষটি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পাড়লাম সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নিব।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীর বলেন, ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন যদি কেও করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply