প্রতিক্ষন সংবাদ: মুলাদীতে স্ত্রী রহিমা বেগমের ঝাড়ুপেটা খেয়ে স্বামী আবেদ শরীফের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকালে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াতলী গ্রামের মজনু ওরফে জসিম মীরের ছেলে সোহাগ ও সজিব মীরের নেতৃত্বে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ওই গ্রামের নাদের শরীফের ছেলে আবেদ শরীফের হাত-পা ভেঙে দেয় বলে দাবি করেছেন আহতরা। ওই সময় আবেদ শরীফের স্ত্রী রহিমা বেগমসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রহিমা বেগম জানান, মজনু ওরফে জসিম মীরের সাথে আবেদ শরীফের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েক দিন আগে জসিম মীর বিরোধপূর্ণ জমির একটি গাছ বিক্রি করে দেন। বুধবার দুপুরে ক্রেতারা গাছ কাটতে এলে আবেদ শরীফ বাধা দেন এবং জমি বিরোধের নিস্পত্তি হওয়ার আগে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। এতে জসিম মীর ও তার ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ৭-৮ জন লোক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে আবেদ শরীফের হাত-পা ভেঙে মারাত্মক আহত করে। আবেদ শরীফের চিৎকার শুনে স্ত্রী রহিমা বেগম ও অন্যরা তাকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী গোসাইর হাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শরীয়তপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আবেদ শরীফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
ঘটনার পর থেকে আহতদের নিয়ে চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আবেদ শরীফের স্ত্রী রহিমা বেগম।
এ ব্যাপারে মজনু ওরফে জসিম মীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলে বলেন, গাছ নিয়ে বিরোধের জেরে আবেদ শরীফের স্ত্রী আমাকে ঝাড়ুপেটা করেছেন। তাই ছেলেরা আবেদ শরীফ ও তার লোকজনদের মারধর করেছে। ওই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, হাত-পা ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply