মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
মোঃ হান্নান মিয়া ঃদীর্ঘ ছয় বছর পর ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলনে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় শামীম হককে এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় ইসতিয়াক আরিফকে। এ কমিটির শীর্ষ দুটি পদে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের কাছের কেউ ঠাঁই পাননি। কমিটি বিলুপ্ত করায় খন্দকার মোশাররফ যুগের অবসান হলো।
এদিকে ক্লিন ইমেজের এই দুজন নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। নবাগত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটির অন্যান্য পদের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন। কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুনীতিবাজদের দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন, ফরিদপুরে অনেক রক্তপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়। যারা মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এদের চিহ্নিত করতে হবে। এদের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে রাখা যাবে না। এ ঘোষণার পর স্থানীয় নেতারা বলতে শুরু করেছেন- কমিটিতে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিংবা বিতর্কিত কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা কেউ ঠাঁই পাবেন না। আর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছের কিংবা আস্থাভাজন কেউ কমিটিতে যুক্ত হবেন না।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অত্যন্ত কাছের ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা করা হয়। ওই মামলায় দুই ভাই বরকত ও রুবেল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
Leave a Reply