রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমিজমা বিরোধে এক নারী হত্যা জনগনকে কাঙ্গাল বানানো বন্ধ করুন সারা রাত লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিসিবির পণ্য আদালত মানুষেই চালায় বিচারককে ভাত খেতে দেব না,  এমপি কমল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের এই দুই প্রতারকের সন্ধান দিন মাদারীপুর টু ঢাকার বাসের ভাড়ার নৈরাজ্য ভাংগায় স্ত্রীর হাত ভেঙে দিলেন স্বামী, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় দুর্নীতি নির্মূলের ঐক্যের ডাক রওশন এরশাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে র‌্যালি মালখানগর উচ্চ বিদ্যালয় মুন্সীগঞ্জ সাবই বলছে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু জনজীবন অতিরিক্ত জন সংখ্যার চাপে দেশে কমছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ সরকারী কর্মকর্তাদের অপমান ঢাকতে সাংবাদিকদের কক্ষ থেকে বের করে দিলেন ইউএনও
তালেবানের মেদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ

তালেবানের মেদেরকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশ

প্রতিক্ষন সংবাদ: আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতে নারীদের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না দিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন তালেবানের কর্মকর্তারা।

ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠানের প্রধান জ্যান আঘা আচাকজাই ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নারী চালকদের সনদ দেওয়া বন্ধ করতে আমাদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শহরটিতে নারীদের গাড়ি চালানো বন্ধের কোনো নির্দেশ আসেনি।’

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেরাতে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর তদারকির দায়িত্ব ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের।  প্রতিষ্ঠানটি শহরের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া স্কুলগুলো পরিচালনা করে।

এমন নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় ২৯ বছরের নারী প্রশিক্ষক আদিলা আদিল এএফপিকে বলেন, আমাদের বলা হয়েছে, আমরা যেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ ও সনদ না দিই। পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের মায়েদের মতো করে একই রকম সুযোগ-সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতে চায় তালেবান।

তিনি আরো বলেন, আগের মেয়াদ অর্থাৎ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের কট্টর শাসনব্যবস্থার তুলনায় এবার নমনীয়তা বজায় রাখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না তালেবানরা। বিশেষ করে নারীদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ এবং নারীদের সরকারি চাকরিতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।

তালেবানের এই নির্দেশনাকে ‘অবিবেচক’হিসেবেই দেখলেন পারিবারিক প্রয়োজনে গাড়ি চালিয়ে স্থানীয় মার্কেটে যাওয়া শাইমা ওয়াফা।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তালেবানের এক নিরাপত্তারক্ষীকে বলেছি যে একজন ট্যাক্সি চালকের পাশে বসে থাকার চেয়ে নিজের গাড়িতে ভ্রমণ করাটা অনেক বেশি স্বস্তির। আমার ভাই বা স্বামী কখন বাড়িতে আসবে, সে অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজের গাড়িতে করে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসকের কাছে নিতে পারার মতো সক্ষমতা হওয়াটা জরুরি।’

কয়েক বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে আসা ফেরেশতেহ ইয়াকুবি নামের একজন নারী বলেন, কোনও গাড়িতে এটা লেখা নেই যে, এই গাড়ি শুধুমাত্র পুরুষের। আসলে একজন নারী যদি গাড়ি চালান, তাহলে সেটি তার জন্যও নিরাপদ।

সম্প্রতি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা ২৬ বছরের তরুণী জয়নব মোহসেনি বলেন, পুরুষ চালকদের ট্যাক্সির তুলনায় মেয়েরা নিজেদের গাড়িতে বেশি নিরাপদ বোধ করেন। তালেবানরা ধীরে ধীরে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ বাড়াতে চায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021
Design & Developed BY JM IT SOLUTION