প্রতিক্ষন সংবাদঃ দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পদ্ধতিগত ত্রুটি ও ব্যাংককর্মীদের অসততার কারণে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) সেবা বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। এ সুযোগে নতুন নতুন কৌশলে মাঝেমধ্যেই ঘটছে জালিয়াতির ঘটনা। এর সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা যেমন জড়িত, তেমনই ব্যাংককর্মী ও তথ্যপ্রযুক্তির উপকরণ ব্যবসায়ীরা সম্পৃক্ত।
যৌথভাবে বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে এরা চুরি করছে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা। অনেক সময় এরা গ্রাহকের হিসাব ছাড়াই এটিএম মেশিন থেকে সরাসরি টাকা তুলছে, যা পরে ব্যাংকের দায় হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে।
এ ধরনের প্রবণতা বন্ধে এবং ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তিগত নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট), বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এসব নিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গঠন করা হয়েছে সাইবার ইউনিট।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়ও এ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকটি ব্যাংকে ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে। ব্যাংকগুলো তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। গ্রাহকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির (ডিএসএ) পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকের এটিএম মেশিন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আনা হয় না। অনুমতি ছাড়া অন্য চ্যানেলে আসা মেশিনগুলোর বহুমুখী দুর্বলতা থাকে, যা এটিএম জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানতে হবে। পাশাপাশি ক্লিন ডিএনএস সার্ভার স্থাপন করতে হবে।
Leave a Reply