মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
তন্ময় দেবনাথ রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার বড়াল নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধের লাশের পরিচয় গত তিন দিনেও মেলেনি। মৃত ও বৃদ্ধের ওয়ারিশ বা আত্মীয়-স্বজনের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আড়ানী পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের কুশাবাড়ীয়া গ্রামে নদীর ধারে অজ্ঞাত এই বৃদ্ধের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বাঘা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সবুজ রানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক দিন ধরে মৃত এই বৃদ্ধকে আড়ানী পৌর বাজারের বিভিন্ন দোকানে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে এলাকার লোকজন কেউই তাকে চিনতেন না। বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. সবুজ রানা বলেন, `স্থানীয় লাশটি পড়ে থাকতে দেখে গত সোমবার সন্ধ্যায় থানায় খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। কিন্তু গত তিন দিনেও অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধের পরিচয় মেলেনি। ফলে ওই বৃদ্ধের পরিবারের কারো সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। সঙ্গত কারণে মরদেহটি এখনো রামেক হাসপাতালের মর্গেই রাখা আছে।’ পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ওই লাশের পরনে লুঙ্গি, খালি গা ও মুখে পাকা (সাদা) দাড়ি রয়েছে। এছাড়া মরদেহের পাশে একটি বাজারের ব্যাগ পাওয়া গেছে। ব্যাগে কিছু খুচরা পয়সা, একটি গামছা ও একটি লুঙ্গি ছিল।’ পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘গত সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত এই বৃদ্ধের লাশের ছবি দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় জানানোও হয়েছে। কিন্তু খন পর্যন্ত ওই বৃদ্ধের পরিচয় কিংবা তার পরিবারের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি।’পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, কেউ এই বৃদ্ধের পরিচয় জেনে থাকলে বাঘা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহনেওয়াজ সজল (মোবা-০১৭৬৭৫৭৬৪৪৮) অথবা থানার ডিউটি অফিসারের (০১৩২০১২২৭৮১) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
Leave a Reply