প্রতিক্ষন সংবাদঃ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বাকি আর মাত্র ১৬ দিন। এখন চলছে অসমাপ্ত ১৬ রকমের কাজ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-রোড মার্কিং, রোর্ড সিগন্যাল বসানো, ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ, অ্যালুমোনিয়ামের রেলিং বসানো, মুভমেন্ট জয়েন্টগুলোকে প্যারাটের সঙ্গে আটকানো, স্টিলের বক্স স্থাপন, রেইন ওয়াটার ড্রেন স্থাপন, নিচের দুই প্রান্তে রেলওয়ে মেনটেইন্যান্স ওয়াকওয়ে, হলুদ গ্যাস পাইপের রঙের ফিনিশিং, টোল প্লাজায় মেশিন স্থাপন, সেতুর দুই প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামফলক, ইলিশের ভাস্কর্য, ফোয়ারা, জামদানি দেয়াল চিত্র ও ওজন স্টেশন নির্মাণ।
এছাড়াও সেতুর দুই পাড়ে অ্যাপ্রোচ সড়কের ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন ও মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক কেবল স্থাপন, পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৩২টি বাতি জ্বালানো হয়েছে। বাকি ১৮৩টি পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানো শেষেই পুরো ৪১৫টি বাতি একযোগে জ্বালানো হবে। মার্কিং কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। এছাড়া যানবাহন চলাচলের পথ নির্দেশনা ও সিগন্যাল স্থাপনের কাজ দু-এক দিনের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রোড সিগন্যাল বসানোর স্থানগুলো দেখিয়ে দেন দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সিগন্যাল বক্স তৈরি করা হয়েছে আরও আগেই। এখন স্থাপন করা হবে। তবে সেতুর দুই প্রান্তে সড়কে বড় করে পথ নির্দেশনার কাজটি করছে সেনাবাহিনী। পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের জন্য দুই পারে টোল প্লাজায় অবকাঠামো নির্মাণ হয় ২০১৭ সালে। এখন সেখানে টোল আদায়ের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো চলমান। টোল প্লাজাগুলোতে ৬টি করে বুথ বসানো হয়েছে। এই বুথগুলো দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এদিকে বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সেতু বিভাগ।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন জানান, উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দুটি অনুষ্ঠান হবে। একটি মাওয়া প্রান্তে। অন্যটি জাজিরা প্রান্তে। মাওয়া প্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। যেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। তারপর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী জাজিরা প্রান্তের সমাবেশে যোগ দেবেন। ওই পাশেও একটি উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল থাকবে, সেটিও উদ্বোধন করবেন তিনি।
অনুষ্ঠানগুলো একসঙ্গে ৮টি বিভাগে, ৬৪ জেলায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ২৫ তারিখ পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য অনেকের মধ্যে আগ্রহ আছে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে চলে আসার পর যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন দিয়ে বা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে কখন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেটা হতে পারে পরদিন ভোর ৬টা বা ওই দিনই কোনো সময় থেকে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Leave a Reply